ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ , ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল, তবে নেপাল-ভুটানগামী রপ্তানিতে ছাড়

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৯-০৪-২০২৫ ০৯:৩৫:০৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৯-০৪-২০২৫ ০৯:৩৬:০১ অপরাহ্ন
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল, তবে নেপাল-ভুটানগামী রপ্তানিতে ছাড় ​ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। তবে এই সিদ্ধান্ত নেপাল ও ভুটানগামী রপ্তানির ওপর প্রযোজ্য হবে না বলে স্পষ্ট করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশটির বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য অন্য কোনো দেশে পাঠানো আর সম্ভব হবে না। তবে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে যে পণ্য পরিবহন হয়, সেই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে উল্লেখযোগ্য পণ্যজট সৃষ্টি হচ্ছিল। এই কারণে আমাদের নিজস্ব রপ্তানিতে বিলম্ব, খরচ বৃদ্ধি এবং ব্যাকলগ তৈরি হচ্ছিল। ফলে, এই সুবিধা ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্পষ্ট করে বলা যায়, এই সিদ্ধান্ত ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে নেপাল বা ভুটানে পণ্য পরিবহনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।”

ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার এক সার্কুলারে বাংলাদেশের পণ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়।

ওই সার্কুলারে ২০২০ সালের ২৯ জুনের একটি সার্কুলার ‘অবিলম্বে’ বাতিল করার কথা বলা হয়।

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য কনটেইনার বা কভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে দেশটির অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল পুরনো ওই সার্কুলারে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে ট্রানজিটে থাকা বাংলাদেশি পণ্য বিদ্যমান প্রক্রিয়ার আওতায় ভারত ছাড়তে পারবে, তবে নতুনভাবে কোনো পণ্যের চালান ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পাবে না।

ওই সার্কুলারের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মত দেশের সঙ্গে স্থলপথে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাণধীর জয়সওয়াল নয়া দিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমি কিছু প্রতিবেদন দেখেছি, তাই বিষয়টি স্পষ্ট করছি।”

এ সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটিও পড়ে শোনান।

ভারতের তৈরি পোশাক খাতসহ একাধিক রফতানিকারক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে দেওয়া এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন ২০-৩০টি বাংলাদেশি ট্রাক দিল্লির এয়ার কার্গো কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে, ফলে ভারতের রফতানি পণ্য পরিবহনে ধীরগতি দেখা দেয়, বিমান পরিবহনে জায়গার সংকট তৈরি হয় এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। অবশেষে তাদের দাবি মেনে এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ